>>The story of one of the greatest saints of all time.
One such saint or devotee is Sri Ramakrishna Paramahamsa Deva. He was born on 16 February 1838 in the village of Kamar Pukur in West Bengal, India. He was the youngest son in a poor Brahmin family. He used to worship mother Kali from his childhood. And at one point he became the best devotee of Mother Kali. From an early age, Ramakrishna has been seen to have miraculous powers inside Paramahamsa Deva. He is said to have told his father in a dream before he was born that he was a form of God. Although it is a miracle to hear the word, it is true. Because the followers of Hinduism believe in the incarnation of God. It is known that whenever man has been afflicted with superstition, injustice, misery and misery in the world, God has appeared in the world as an incarnation. To show the right path to free people from misery. And many patterns of roses have been found many times. And Ramakrishna Paramahamsa Deva is such an incarnation.
He expressed his love for the creature in the main mantra of his pursuit . He said that the true God can be obtained by loving the living. That is why he said, "He who loves life" is serving God. He also reviewed Hindu, Muslim, Buddhist and Christian religions in his pious life. And he said that all religions are one and the same, but we think each religion is different because the way of worship is different. That's why he said - "as much as" the way. The chariot of the word is - the more opinions are created to worship God, the greater the path of prayer to God.
Thakur Ramakrishna Paramahamsa Dev was a very rational devotee. He brought about a radical change in the then imperialist society through his reasoning and advice. Fascinated by his rationality, Swami Vivekananda became an absolute disciple of Ramakrishna Paramahamsa. Swami Vivekananda spent his life considering the ideal of Ramakrishna Paramahamsa as the main mantra of life.
বাংলা অনুবাদঃ
একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাধকের গল্প।
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও পৌরাণিক কল্প কাহিনির দেশ বললে, পৃথিবীর মধ্যে একটি দেশের নাম সামনে আসে সেটি হলো ভারতবর্ষ। আর এই ভারতবর্ষে বহু সমায়ে বহু সাধু সন্তের জন্ম হয়েছে। যারা যুগ যুগ ধরে অবতার রূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করে মানুষ জাতিকে দেখিয়েছে সঠিক পথ। মানুষকে কুসংস্কারে মোড়া সমাজ থেকে বের করে এনে প্রকৃত শিক্ষার আলো যারা মানুষের মনে জ্বালিয়েছে তারা হলো এই সাধু সন্ত।
তেমনই একজন সাধু বা সাধক হলেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। তিনি ১৮ ই ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ সালে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কামার পুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গরিব ব্রাহ্মমন পরিবারে কনিষ্ঠ ছেলে ছিলেন। তিনি ছোটো বেলা থেকে মা কালির আরধনা করতেন। এবং এক সমায় তিনি মা কালির শ্রেষ্ঠ সাধকে পরিনত হন। ছোটো বেলা থেকেই রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ভিতরে অলৌকিক শক্তির আর্বিভাব হতে দেখা যায়। শোনা যায় তিনি যে ঈশ্বরের একটি রূপ তা তিনি তার জন্মের আগে স্বপ্নে প্রকট হয়ে তাঁর বাবাকে বলে গেছিলেন। কথাটি শুনতে অলৌকিক হলেও সত্য। কারন হিন্দু ধর্ম অবলম্বীরা ঈশ্বরের সাকার রূপে বিশ্বাসী। জানা যায় পৃথিবীতে যখনই মানুষ কুসংস্কার, অন্যায় অত্যাচার, দুঃখ দূর্দশাতে জর্জরিত হয়েছে তখনই ভগবান অবতার রূপে পৃথিবীতে আর্বিভিত হয়েছেন। মানুষকে দুঃখ দূর্দশা থেকে মুক্ত করতে সঠিক পথ্ দেখাতে। আর এই কথা গুলের অনেক নিদর্শনও অনেক বার পাওয়া গেছে। আর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব তেমনই একজন অবতার। তিনি তার সাধনার মূল মন্ত্রে জীবকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন জীবকে ভালোবাসলে প্রকৃত ঈশ্বরকে লাভ করা যায় । তাইতো তিনি বলেছিলেন " জীবে প্রেম করে যেই জন" সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। এছাড়া তিনি তার সাধক জীবনে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের পর্যালোচনা করেছিলেন। এবং তিনি বলেন যে সব ধর্মই এক ও অভিন্ন তবে উপসনা করার রীতি আলাদা আলাদা হওয়ার কারনে আমরা প্রত্যেকটা ধর্মকে আলাদা মনে করি। তাইতো তিনি বলেছিলেন - " যত মত " তত পথ্। কথাটির রথ হলো - ঈশ্বরকে আরধনার জন্য যত মতের সৃষ্টি হবে, তেমনি ঈশ্বরের প্রার্থনার পথ্ও তত বেশি হবে।
ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব খুবই যুক্তিবাদী সাধক ছিলেন। তিনি তার যুক্তি ও পরামর্শ দ্বারা তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী সমাজ ব্যাবস্থায় আমূল-পরিবর্তন এনেছিলেন। তাঁর এই যুক্তিবাদীতায় মুগ্ধ হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের পরম শিষ্য হয়ে ওঠেন। স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের আদর্শকে জীবনের মূল মন্ত্র মনে করে জীবন অতিবাহিত করেন।